ধর্মের উৎপাদন কী শাসন ক্ষমতার উদ্দেশ্য করে

নাস্তিক্যবাদই মানুষকে মানুষ হিসবে মর্যাদা দেয়। কোন ধর্মই মানুষকে মানুষ হিসেবে মেনে নেয় না। মানুষ এর মধ্যে হানাহানি বাড়ায়। আজ যে পৃথিবীতে এতো হানাহানি তা ধর্মকে প্রতিষ্ঠার জন্যই।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর  ভাষায় বলতে হয় -


"ধর্মের  মোহ যারে এসে ধরে,

অন্ধ সে জন শুধু  মারে আর মরে,

নাস্তিক সে ও পায় বিধাতার  বর,


ধর্মান্ধতার করেনা আড়ম্বর,

শ্রদ্ধা করিয়া জালে জ্ঞান এর আলো,

শাস্ত্র মানে না, 

মানে শুধু মানুষ এর ভাল "

কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ এই নিয়ে যত সমস্যা। তবে বর্তমান  বিশ্বে প্রধানত ইসলামি জঙ্গীবাদ পৃথিবী কে রক্তাত্ব করছে। এরা পৃথিবী কে নিয়ে যেতে চায় আদিম সময় ১৪০০ বছর আগের সময়।

যে  পৃথিবীতে শুধু থাকবে ইসলাম। অনন্য সব ধর্মের লোক কে মারা জায়েজ। মেয়েরা থাকবে বাড়ির মধ্যে , তাদের পড়ালেখার  অধিকার থাকবে না। মেয়েরা শুধু  ভোগের বস্তু হবে। তারা শুধু সন্তান প্রতিপালন করবে। সেখানে থাকবে না কোন গান, কোন খেলাধুলো, কবিতা। ছেলেরা জিহাদী হবে অর্থাৎ-

"ধর্মের জন্য মারবে অথবা মরবে "

অনেকে  ভাবছেন এটা সত্য নয়? 

জ্বি  না ! এটা বাস্তব সত্য। পূর্বতন তালিবান জামানাতে এটা ছিল বাস্তব। বর্তমানে সিরিয়া, ইরাক এর বিস্তীর্ন অঞ্চল এ isis এর এই ধরণের শাসন প্রতিষ্ঠা আছে। আমার প্রশ্ন আপনারা কি এই ধরণের শাসন চান? অনেক মুমিন ভাইরা মনে করেন শরীয়তী আইন প্রতিষ্ঠা হলে প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠা হবে? তাদের উদ্দেশ্য বলি - তারা এই আইন সম্পর্কে কিছুই যানেন না আথবা তারা মুর্খ আবেগ থেকে এ কথা বলছেন। তারা নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুক তারা কি মেনে নিতে পারবে ?- যখন কোন ছোট খাট চুরির ফলে হাত কেটে নেয়া হয়? যখন তার পাজামা গাঁট এর নিচে কী উপরে এর জন্য দিতে হয় মৃত্যু দণ্ড? দাড়ি না রাখার জন্য মৃত্যু? গান শোনা, কবিতা পাঠ, এমন কি খেলাধুলো (দু -তিনটি বাদ দিয়ে -তীর চালনা,সাতার,মল্লযুদ্ধ ,নারীর সঙ্গে গল্প) সব কিছুই যখন হারাম ? কোন নারী ধর্ষিত হলে তা প্রমাণ করতে ৪ জন পুরুষ সাখখি দরকার। এটা কি আদে ও বাস্তব সম্মত ? এটা কি বর্বরতা নই ? মেয়েরা পুরুষ ছাড়া বাইরে যেতে পারবে না ? গেলে ১০০ ঘা প্রকাশ্যেই বেত মারা হবে। পুরুষরা যত খুশি বিয়ে করতে পারবে , যখন খুশি তালাক দেবে। গণিমতের মাল বলে যৌনদাসী করে রাখবে। পারবেন তো নিজকে এভাবে (for women ) মেনে নিতে ? পারবেন তো নিজের মেয়ে, বৌ কে এ আবস্থাতে  দেখতে ? (for men) আর ও ভয়ানক  মেয়েদের বিয়ের ব্যাপারে কোন স্বাধীনতা নেই। তাদের যে কোন জিহাদীদের বিয়ে করতে হবে। অন্যথ্যা হলে মুন্ডু কেটে নেওয়ার ভয় থাকে। আর ও অমানবিক যুদ্ধে এই নারীদের স্বামী মারা গেলে এদের ভিখখা পর্যন্ত করতে দেওয়া হয় না। রাজপথে তাদের উপর অমানবিক অত্যাচার হয়, তাদের  পশুর মত পেটানো হয়। তাদের অন্য মুজাহিদদের কাছে বেচে দেওয়া হয়। আর কতই বা বলবো। এরপরও যদি কারোর মনে প্রশ্ন থাকে শরিয়তি আইন এ এগুলি সত্য ? তার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ চোখ কান খোলা রাখুন, পড়াশোনা করুন , যুক্তি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন ? কি সত্য আর কি মিথ্যা তা আপনি বুঝতে পারবেন ? আমার প্রশ্ন এরপরও কি আপনি শরিয়তী ও ধর্মীয় আইন কে সমর্থন করবেন?

Post a Comment

0 Comments