শৈশবের সেজতি


শৈশবে সেঁজতি নামের কেউ একজন ছিল,
আমায় বড্ড জ্বালাতন করতো
আর মাঝে মাঝে আবদার চাইত কবিতা লেখার আবদার।
আজ পঁচিশ বছর পর শৈশবের সেঁজতির সাথে দেখা।
কোন এক রাজ পথের মোড়ে বাস স্টপেজে দাঁড়িয়ে একা
আমায় দেখে অপলক চেয়ে,গোলাপি ঠোঁটে 

ফিসফিসিয়ে বলে গেলে অনিন্দ আমায় মনে রেখেছ কী?
জানো সেঁজতি, আমি আজও মনে রেখেছি তোমায় কাঁঠালি ছায়ায় কলমির গন্ধে।
নিশি কাব্যের প্রহরে পঁচিশ বছর ধরে।
তুমি আসবে বলে অপেক্ষায় ছিলাম
 হিজলের তলে। 
কবিতার ঝুড়ি নিয়ে তোমাকে সাজাবো বলে।
জানো সেঁজতি, আমার চল্লিশ পেরনো বয়স এখনও তোমায় খোঁজে
আমার নাকের ডগায় লেগে থাকা তোমার চুলের গন্ধে এখনও মাঝ রাতে ঘা শিউরে ওঠে। 
শিমুল, পলাশ, শিউলি মালা শুকিয়ে গেছে সেই কবে

পঁচিশ বছর আগলে রেখেছি বড় যতন করে।

Post a Comment

0 Comments