মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃওিমূলক শিক্ষা


প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে ইতোমধ্যে কারিগরি ও বৃওি মূলক শিক্ষার ওপর সর্বাবিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং যেসব দেশে দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে স্বল্প সময়ে বিপুল জন গোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে রুপান্তরিক করা সম্ভব। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, যে দেশে কারিগরি শিক্ষার হার যত বেশি সে দেশের মাথাপিছু আয় ও তত বেশি। বর্তমান বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতির সহায়ক শক্তি হিসাবে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে কারিগরি ও বৃওিমূলক শিক্ষার বিকাশ জরুরি হলে ও এর বিকাশ তেমনটি ঘটেনি। তাই দেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে ক্রমে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে, বাড়ছে বেকারত্ব হার। আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের সম্ভবনাময় তরুন সমাজ।বাংলাদেশে বর্তমানে গোটা শিক্ষাব্যবস্থা কারিগরি শিক্ষায় অধীনে শিক্ষা গ্রহণরত শিক্ষাথীর সংখ্যা উন্নত বিশ্বে চেয়ে অনেক কম। জাপানে এ ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলের শতকরা হার ৬০ ভাগের বেশি, দক্ষিন কোরিয়ায় রয়েছে ৪০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়ায় শতকরা ২৫ শতাংশ। এ সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃওিমূলক শিক্ষা গ্রহণকারীর হার মাএ ১৪ শতাংশ। আর্থসামাজিক পেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন্য হলেও দেশের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট গুলোর তেমন আশানুরুপ বিকাশ ও ঘটেনি। শিক্ষক স্বল্পতা, অপর্যাপ্ত এবং পুরানো যন্ত্রপাতি, মানহীন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আজ এ শিক্ষা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছতে পারেনি।

Post a Comment

0 Comments