রৌদ্রঝরা চৈতের দুপুরে ব্লগার রায়হান এর অনুভূতি

পুকুরপাড়ে বসে আছি। আশপাশে কেউ নেই। মাঝে মাঝে কোকিলের কুহু কুহু ডাক, কাকের কা কা আর পুকুরে হাঁসের প্যাঁক প্যাঁক আওয়াজ ছাড়া চারদিকে নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। গাছের পাতাগুলো ঝরে পড়ছে। রোদ ঝলমল করছে পুকুরের পানিতে। এমন দুপুরে মনে জেগে উঠতে পারে কবিত্ব। এই জন্যেই  হয়তো রবীন্দ্রনাথ বলেছেন দিনের সবচেয়ে সুন্দর সময় হলো মধ্যদুপুর। এই সময় প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের ডালা খুলে বসে। পুকুর পাড়ের গাছের ছায়ায় বসে বাইরের খাঁ খাঁ রোদ বেশ উপভোগ্য। তবে আমার কাছে এটা উপভোগ্য হলে কী হবে? বাম পাশে তাকালে একটা মাঠ দেখা যাচ্ছে, তাতে কৃষকরা কাজ করছে। নিশ্চয়ই তাদের গা রোদ পুড়ে যাচ্ছে। তাদের সেই কষ্টদায়ক শ্রম দেশকে দিচ্ছে একটা বড় উপহার। এই শ্রম যুদি কৃষকরা না দিত তা হলে এই পৃথিবীর সকল মানব আজ অনাহারে কৃপিটত হত। আজকে টিভিতে খবর দেখিনি আজ সকাল থেকে, স্মার্ট ফোনটা ও হাতের কাছে নেই যে দেখব আজকের তাপমাত্রা, ভূল করে ফোনটা রুমে রেখে এসেছি। অবশ্য একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে, কারণ প্রযুক্তি আর প্রকৃতি এই দুই জিনিস সব সময় ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করে। ফোনটা সাথে থাকলে হয়তো কোনো বন্ধুর সাথে কথা বলতাম। আর তাতে চৈতের এই দুপুর ঠিকমতো উপভোগ করতে পারতাম না। যাহোক, অনেকক্ষণ থেকে বসে আছি এই দুপুরের খরতাপে। পিপাসা লেগেছে। উচ্চস্বরে কাউকে ডাকতে ভালো লাগছে না। যাই, বাড়ির ভেতরে গিয়ে পানি খাব।

Post a Comment

0 Comments