চিন্তা থেকে ইশ্বরের অস্তিত্ব

চিন্তা শক্তি মানুষের এক অন্য জগতে নিয়ে যায়। আবার অভিঙ্গতায় ও পরিণত করে। বিষয় বড়ই অদ্ভুদ, সংশয় মানুষকে নতুন কিছু ও শিখতে দেয়। আবার চিন্তা মানুষকে অযুক্তিক কিছু ও শিখায়। আবার যুক্তি ও যেমন আমি যুদি মনে করি ইশ্বর আছেন তা হলে তিনি আছেন। আবার আমি যুদি মনে করি নাই তা হলে তিনি নাই।

চিন্তা থেকে ইশ্বরের অস্তিত্ব

আমরা যুদি প্রাডিকাসের ‘প্রকৃতি প্রসঙ্গে’ (On Nature) গ্রন্থের বিষয়বস্তু সম্পর্কে যে চমৎকার তত্ত্ব উপস্থাপন করেছেন সে বিষয়ে জানা যায়। তাঁর মতে প্রাথমিক পর্যায়ে ধর্ম ছিল এক ধরনের পিশাচ পূজা (fetichism)। সে সময়ে মানুষ যা তাদের আহার জোটাতো বা প্রয়োজন মিটাতো এমন বস্তু যেমন-- চন্দ্র, সূর্য, নদী, হ্রদ, তৃণভূমি, ফলমূল ইত্যাদিকে পূজা করতো। উদাহরণস্বরুপ তিনি মিশরের নীলনদ অঞ্চলের এ ধরনের প্রথার কথা উল্লেখ করেন। পরবর্তী পর্যায়ে কৃষিকাজ, দ্রাক্ষা (আঙুর) চাষ, ধাতুকর্ম ইত্যাদিও আবিষ্কারকদেরকে ডিমিটার (Demeter), ডাইওনিসাস (Dionysus), হেফাসটাস (Haphaestus) প্রভৃতিকে দেবতা রুপে পূজা করা হতো। ধর্ম সম্পর্কে এ রকম দৃষ্টিভঙ্গিও কারণেই তিনি উপাসনাকে অর্থহীন মনে করতেন। যার কারণে তিনি এথেনীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এর ফলে যুবকদের সাথে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আলোচনার অপরাধে তাঁকে লাইসিয়াম (Lyceum) থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বৈয়াকরণ (Grammarian) : ভাষাতত্ত্বের উপর প্রোডিকাসের দক্ষতা ছিল। ভাষা বিষয়ে তাঁর বক্তৃতা ছিল সুপরিচিত। পদ (parts of speech)  কে বিশেষ্য, বিশেষণ, ক্রিয়া প্রভৃতি শ্রেণিতে বিভক্ত করে তিনি পাশ্চাত্যে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাকরণ উদ্ভাবন করেন। তিনি সমার্থক শব্দ (synonym) বিজ্ঞানের উদ্ভাবন করেছিলেন, যা তাঁর সমসাময়িকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছিল। কারণ সুস্পষ্ট যৌক্তিক ধারণা গঠনে এ জাতীয় বিজ্ঞান সহায়ক ছিল। প্লেটো প্রোডিকাসের নাম বিদ্রুপের সঙ্গে উচ্চারণ করলেও সক্রেটিস প্রায়ই শিষ্যদেরকে তাঁর কাছে পাঠাতেন।

Post a Comment

0 Comments